ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিমান পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দু হবে শাহজালাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিমান পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সরকার। এজন্য নির্মাণ করা হচ্ছে আরো একটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত টার্মিনাল। ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই টার্মিনালের কাজ এরই মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে সাড়ে ৩ হাজার একর জমির ওপর টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। এতে রাতদিন মিলিয়ে কাজ করছে দেড় হাজারেরও বেশি শ্রমিক।

টার্মিনালে প্রথম ধাপে থাকবে ১২টি বোডিং ব্রিজ (বর্তমানে রয়েছে ৮টি), ১৬টি লাগেজ বেল্ট, বহুতল কার পার্কিং এবং উড়োজাহাজ রাখার ৩৫টি পার্কিং বে। এছাড়াও আমদানি-রফতানির জন্য পৃথক কার্গো ভিলেজ নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ করা হবে আরেকটি রানওয়েও। দুর্ঘটনা এড়াতে অত্যাধুনিক এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও রাডার বসবে।

পূর্ব ইউরোপ থেকে ওশেনিয়া অঞ্চল পর্যন্ত ভৌগোলিক সীমানা বিবেচনা করলে ঢাকা একেবারেই কেন্দ্রে অবস্থান করছে। এ কারণে সব আধুনিক সেবা ও সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে এই গোটা অঞ্চলের বিমান চলাচলের কেন্দ্র হয়ে উঠবে ঢাকা। উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমের প্রায় সব দেশের কাছে এই বিমানবন্দরটি হয়ে উঠবে লোভনীয়।

ডেইলি বাংলাদেশকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দর ধীরে ধীরে একটি কানেক্টিং হাব হয়ে উঠবে। আমরা আমাদের বিমানবন্দরগুলোকে যতটুকু সম্ভব আধুনিক করে তুলতে সব ধরনের চেষ্টা করবো। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এই বিমানবন্দরটি হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রবিন্দু।

সিভিল অ্যাভিয়েশনের সদস্য ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনের গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী জিয়াউল কবির বলেন, কম খরচে ভালো কানেক্টিভিটি দেয়া যাবে ঢাকা বিমানবন্দরে। এটিকে সাজানো হচ্ছে আধুনিক সব প্রযুক্তির সাহায্যে। এই টার্মিনালটি চালু হলে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় তিন লাখ বিমান ওঠানামা করতে পারবে।

এদিকে সবমিলিয়ে ৫৩টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশ সেবা চুক্তি থাকলেও বর্তমানে ২৩টি দেশের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চলে। নতুন টার্মিনাল হলে আরো বেশি দেশের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট যোগাযোগ বাড়বে। এতে বিমানের গ্রাহক বাড়বে কয়েক কোটি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে যৌথ অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের দাতা সংস্থা জাইকা। প্রকল্পটির বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি) ১৪ জানুয়ারি একটি চুক্তি করে। এতে স্বাক্ষর করেন বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান ও মিতসুবিসি কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার ইয়াসুনোরি সাকামোতো।

এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটির উদ্বোধন ও ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন টার্মিনালটি দেখতে পদ্মফুলের মতো হবে। এভাবে এর নকশা করেছেন সিঙ্গাপুরের সিপিজি কর্পোরেশন লিমিটেডের খ্যাতিমান স্থপতি রোহানি বাহারিন।

উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর যাত্রা শুরু করে ১৯৮০ সালে। এখানে আছে দু’টি টার্মিনাল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিমান পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দু হবে শাহজালাল

আপডেট টাইম : ০৩:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিমান পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সরকার। এজন্য নির্মাণ করা হচ্ছে আরো একটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত টার্মিনাল। ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই টার্মিনালের কাজ এরই মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে সাড়ে ৩ হাজার একর জমির ওপর টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। এতে রাতদিন মিলিয়ে কাজ করছে দেড় হাজারেরও বেশি শ্রমিক।

টার্মিনালে প্রথম ধাপে থাকবে ১২টি বোডিং ব্রিজ (বর্তমানে রয়েছে ৮টি), ১৬টি লাগেজ বেল্ট, বহুতল কার পার্কিং এবং উড়োজাহাজ রাখার ৩৫টি পার্কিং বে। এছাড়াও আমদানি-রফতানির জন্য পৃথক কার্গো ভিলেজ নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ করা হবে আরেকটি রানওয়েও। দুর্ঘটনা এড়াতে অত্যাধুনিক এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও রাডার বসবে।

পূর্ব ইউরোপ থেকে ওশেনিয়া অঞ্চল পর্যন্ত ভৌগোলিক সীমানা বিবেচনা করলে ঢাকা একেবারেই কেন্দ্রে অবস্থান করছে। এ কারণে সব আধুনিক সেবা ও সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে এই গোটা অঞ্চলের বিমান চলাচলের কেন্দ্র হয়ে উঠবে ঢাকা। উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমের প্রায় সব দেশের কাছে এই বিমানবন্দরটি হয়ে উঠবে লোভনীয়।

ডেইলি বাংলাদেশকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দর ধীরে ধীরে একটি কানেক্টিং হাব হয়ে উঠবে। আমরা আমাদের বিমানবন্দরগুলোকে যতটুকু সম্ভব আধুনিক করে তুলতে সব ধরনের চেষ্টা করবো। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এই বিমানবন্দরটি হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রবিন্দু।

সিভিল অ্যাভিয়েশনের সদস্য ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনের গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী জিয়াউল কবির বলেন, কম খরচে ভালো কানেক্টিভিটি দেয়া যাবে ঢাকা বিমানবন্দরে। এটিকে সাজানো হচ্ছে আধুনিক সব প্রযুক্তির সাহায্যে। এই টার্মিনালটি চালু হলে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় তিন লাখ বিমান ওঠানামা করতে পারবে।

এদিকে সবমিলিয়ে ৫৩টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আকাশ সেবা চুক্তি থাকলেও বর্তমানে ২৩টি দেশের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চলে। নতুন টার্মিনাল হলে আরো বেশি দেশের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট যোগাযোগ বাড়বে। এতে বিমানের গ্রাহক বাড়বে কয়েক কোটি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে যৌথ অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের দাতা সংস্থা জাইকা। প্রকল্পটির বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি) ১৪ জানুয়ারি একটি চুক্তি করে। এতে স্বাক্ষর করেন বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান ও মিতসুবিসি কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার ইয়াসুনোরি সাকামোতো।

এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটির উদ্বোধন ও ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন টার্মিনালটি দেখতে পদ্মফুলের মতো হবে। এভাবে এর নকশা করেছেন সিঙ্গাপুরের সিপিজি কর্পোরেশন লিমিটেডের খ্যাতিমান স্থপতি রোহানি বাহারিন।

উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর যাত্রা শুরু করে ১৯৮০ সালে। এখানে আছে দু’টি টার্মিনাল।